নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মৃত হানিফ বাহারের ছেলে আব্দুল খালেক অভিযোগ করেন তার ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন(২০) ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভাগ্য পরির্তনের আশায় লিবিয়াতে যায়।
সেখানে কাজের সন্ধ্যান করা অবস্থায় সোনাইমুড়ি উপজেলার সাতগরিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে পরিচয় হয়। সে সাহাব উদ্দিন’কে ভাল কাজ পাইলে দেবে দেওয়ার আশ্বাস দিয়া গত ২৮/০২/২০২০ইং তারিখে লিবিয়ার ত্রিপলীতে তাজুরা নামক স্থানে আটক করিয়া দেশে থাকা তাহার ভাই আব্দুল খালেকের ইমু নাম্বারে কল করে তাকে ছাড়ানোর জন্য ৮০ হাজার টাকা দাবী করে।
পরে বিকাশের মাধ্যেমে পুরো টাকা প্রদান করিলে তাহার ভাই সাহাব উদ্দিনের সাথে ইমুতে কথা বলিয়া দেয়।
পরে পুনরায় আসামী আলমগীর হোসেন তার ইমু নাম্বার হইতে ফোন করিয়া জানায় যে, লিবিয়াতে তার ভাই ভালো অবস্থায় নাই। সেই তাকে ইতালীতে পাঠাইয়া দিবে আশ্বাস দিয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন ইতালীতে পাঠাবে বলে।
আসামীর চাহিদামত ১৮/০৫/২০২০ইং তারিখে আসামী আলমগীরের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার লিপির ডাচ বাংলা ব্যাংক লক্ষীপুর শাখার হিসাব নং-৭০১৭৪১১১৬৬৫৬৭ তে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাঠায়।
কিন্তুু আসামী আলমগীর, বাদীর ভাই সাহাব উদ্দিনকে ইতালীতে না পাঠাইয়া তাকে সেখানে আটক রাখিয়া আরো অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পাশাপাশি সেখান থেকে তার ভাইয়ের হাত পা বাঁধা অবস্থায় নির্যাতনের ছবি পাঠায় তাকে হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে।
বাদী আব্দুল খালেক উপায় না দেখিয়া বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ করিলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের পরামর্শে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ লিবিয়ার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার লিপি(৩৫) কে তার বাবার বাড়ি বেগমগঞ্জ আমানুল্যাহপুর ইউনিয়নের আইউবপুর থেকে আটক করে পুলিশ।