ডেস্ক রিপোর্ট : ৪ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার চর শুল্যকিয়া গ্রামের মাদ্রাসার ছাত্রী কলে অজু করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বখাটে রুবেল ও তারেক তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ভিকটিমের চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, এ ঘটনায় সুধারাম থানার ‘এসআই নুরনবী” বাদীকে তদন্ত করতে গিয়ে মামলা করতে মানা করেন। তিনি মাদ্রাসা ছাত্রী বাবাকে বুঝান, মেয়ের ভবিষ্যত বিয়ে দেওয়া লাগবে তারজন্য মামলা না করা ই ঠিক হবে।
তবুও মেয়ের বিচারের আশায় ঘটনায় মাদ্রাসার ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মো. রুবেল (২৬) ও তারেককে (৩০) অভিযুক্ত করে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা শিশু অধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক মহলে শিশু মুখপাত্র খ্যাত আরিফের সহায়তা চান।সুত্র জানায়, নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, র্যাব ১১ কমান্ডার কে আসামী গ্রেফতার করতে অনুরোধ জানান দেশের শিশু মুখপাত্র।আরিফের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয় দুই বাহিনীর পক্ষ থেকে ই।
সুত্র আরও জানায়, শিশু অধিকারকর্মী সুধারাম থানার ওসি’র কাছে জানতে চান থানায় কেন মামলা নিতে গড়িমসি করা হলো?পাশাপাশি এসআই নুরনবী’কে মামলা তদন্ত কাজ থেকে সড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে ওসি সাথে সাথে ই এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।
ধর্ষনের স্বীকার মেয়েটির বাবা এই প্রতিবেদককে বলেন, শিশু অধিকারকর্মী ও নোয়াখালী বাংলাদেশ প্রতিদিন সাংবাদিক সোহাগ অব্যাহত সহায়তা নড়েচড়ে বসে নোয়াখালী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ১৩ আগস্ট সুধারাম থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে ধর্ষক একজনকে।
এ ঘটনায় ধর্ষনের স্বীকার মাদ্রাসা ছাত্রী ধন্যবাদ জানান, বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মী আরিফ’কে৷ তিনি বলেন, চায়ের দোকানে বাবা’র কাছ থেকে সব শুনে ই আরিফ স্যার প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে থাকে আমাদের।আল্লাহর কাছে বিচার বিচার চেয়েছিলাম হয়তো আল্লাহ কবুল করে আরিফ স্যারের সাথে আব্বার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।